পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তারার পানে চেয়ে

খাওয়া দাওয়ার পাট অনেকক্ষন চুকে গেছে । এখন রাত বেশ গাঢ় হয়েছে। মেয়েটা বাড়ির ছাদে এসে দাঁড়ালো। মাথার উপর দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ, রাতের অন্ধকারে ঝলমল করছে । মেয়েটির চোখের দৃষ্টি অগুন্তি তারা দের ভিড়ে হারিয়ে যায়। ছোট্টবেলায় মা বলত যার পৃথিবী থেকে চিরদিনের মতো হারিয়ে যায় তারা সবাই ওই আকাশের তারা হয়ে যায় । মায়েরা কখনও ভুল বলেনা সেই বিশ্বাসটুকু আছে তাই সে তারাদের ভিড়ে খুঁজে বেড়ায় তার প্রিয় তারাটিকে, তার প্রিয় মানুষটিকে। চশমার নিচে চোখ দুটি একটু ঝাপসা হয়ে আসে। যখন সে একদম ছোট্টটি তখন এই প্রিয় মানুযটি আদর করে ডাকতো ফুলটুসি বলে। প্রত্যেক পুরুষের কাছে নিজের আত্মজা রাজকন্যার থেকেও একটু বেশী। এ ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হয়নি। সব থেকে ছোট মেয়ে তাই আদর একটু বেশীই ছিল। আর আদর বেশী হলেই অল্প বিস্তর প্রচ্ছন্ন প্রশয়ও থাকে বইকি। মেয়েটির দিদিরাও আগলে রাখে ছোট্ট বোনটিকে, একটা জ্যান্ত খেলার পুতুল পেয়েছে তারা ভালোতো এমনিই বাসবে , তাকে নিয়ে খেলা করা , সামান্য শিশু সুলভ শাসন তাও ছিল। বাবা বলতো ফুলটুসি, একটু বড় হবার পর ধীরে ধীরে নামটা একটু ছোট হয়ে যায়, বাবা কাজ থেকে ফিরে ডাক দিত টু...সি....ই , দৌড়ে আস্ত টুসি ও জানে বাব

ভোরবেলার শিউলি

ভাদ্র আশ্বিন এই দুই মাস শ রৎ কাল। শরত্‍কালে বাঙালীর প্রধান উত্‍সব দূর্গাপুজো হয়। এইসময় সবাই আনন্দে মেতে ওঠে .......... দূর্গাপূজা রচনাটা মুখস্থ করতে করতে সামনের খোলা জানলাটা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আনমনা হয়ে যায়  শিউলি । দূরে নীল আকাশের গায়ে পেঁজা তুলোর মতো টুকরো টুকরো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। তাইতো শরত্‍কাল তো চলে এসেছে , মনে মনে ভাবে সে। মনের মধ্যে একটা চাপা কষ্ট অনুভব করে  শিউলি । কেন যে সবাই বলে দুগ্গা পুজো বাঙালীর সবচেয়ে বড় আনন্দ উত্‍সব ভেবে পায় না সে। আচ্ছা ওরা কি বাঙালী নয় ! দুটি চোখ জলে ভরে আসে  শিউলি র। মাথায় হঠা ৎ হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘুরে তাকায় , দেখে মা কখন যেন তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। - কি রে পড়তে পড়তে হঠা ৎ থেমে গেলি কেন ? ওমা চোখে জল কেন মা ! - আচ্ছা মা আমরা কি বাঙালী নই ? - ও মা এ আবার কেমন সৃষ্টি ছাড়া কথা! - না মা বইতে লিখেছে বাঙালীর সবচেয়ে আনন্দ উত্‍সব দুগ্গা পুজো। এবার মা বুঝতে পারে মেয়ের মনের দুঃখ , মেয়ের চোখের জল। মেয়ের মাথায় হাতবুলিয়ে বলে - মন খারাপ করিসনে মা , নে তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করে চান খাওয়া করে নে। স্কুল যেতে হবেতো নাকি ? বাঁকুড়া পুরুলিয়ার মাঝামাঝি