পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চিঠি

লাল লাঠি আর ক্যাম্বিস বল , চল ছেলেবেলাটাকে ছুঁই , আজ জীবন প্রান্তে গোধুলিবেলায় কেমন আছিস তুই? হাসিমুখে শুধু ভালো আছি বলে ভালো থাকা সে কি যায় ! চল নদীর চরে বৃষ্টিতে ভিজে, মনের আরাম পাই। চল ডাংগুলি নিয়ে রাস্তায় নামি, সময় যে বয়ে যায়, কবাডির কোর্টে হুটপুটি করে স্মৃতিটুকু ছুঁয়ে যাই। বাড়ছে সময় কমছে জীবন, সাপ লুডো খেলে কাল, ঘরকাটা সেই চকোলেট বার ভাগ করে খাই চল। আয় আগের মত ঝগড়া করি, দিন যে চলে যায়, ভাবার সময় পেরিয়ে গেছে, আয়, বন্ধু আয় - বন্ধু আয়।

বৃষ্টি এবং .......

রাত ভোর  বৃষ্টি, ভাঙা মন ভিজে যায়, ঘুম চোখে স্বপ্নেরা পিছুটান রেখে যায়। স্বপ্নেরা সিঁদ কাটে লম্বা বা চৌকো, বৃষ্টির জলে ভাসে কাগজের নৌকো। নৌকোর কাগজে কবিতারা ছিল কি ! নাকি শুধু মন ছিল ? ছিল প্রেম জোনাকি ! চিকচিক করে সব জোনাকির আলোতে, বৃষ্টির ফোঁটা গুনি ভাষা ভেজা রাতেতে। ভাষা ভেজা বৃষ্টিতে শব্দের ক্ষয় জানি, রাত ভেজা বৃষ্টিতে, কবিতারা অভিমানী।

বৃষ্টি নামুক

অভিমানের মেঘ জমেছে তোমার মনে, দশক ধরে, চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশ সেই মেঘেতেই গুমড়ে মরে। প্রখর তাপে পুড়ছে মাটি, পুড়ছে এ-মন তার সাথে, বৃষ্টি বোধহয় নামবে এবার, চাতক পাখি অপেক্ষাতে। বৃষ্টি হলেই বাঁচবে জীবন, টিপ টাপ টুপ জলের সুরে, মেঘ যদি হয় মনের কোণে, বৃষ্টি নামুক হৃদয় জুড়ে।

দুঃখ বিলাস

আজ দিন দুয়েক হল একটা ইংরাজী শব্দের বাংলা অর্থ নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছি। অভিধান ঘেঁটে অর্থ পেলেও বাংলা শব্দটা ঠিক মনঃপুত হল না। আসলে কি হয়েছে জানেন, কিছুদিন যাবৎ মনটা ভালো যাচ্ছে না। সবকিছুতেই একটা দুঃখ দুঃখ ভাব। তা সবার হিতপোদেশ কানে নিয়ে গেলাম এক মনের ডাক্তারের কাছে। অজস্র প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে, আমার মস্তিষ্কের তেরটা বাজিয়ে উনি মুচকি হেসে প্রসন্ন বদনে ঘোষনা করলেন, এটা তেমন কিছু নয়। এসব এখন আকছার ঘটছে। আসলে আপনি ডিপ্রেশন-এ ভুগছেন। নগদ কড়কড়ে চারশো টাকা গুনে দিয়ে ওনার কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচলাম। রাস্তার ধারের দোকানে মাটির ভাঁড়ে চা খেয়ে মাথাটা বেশ হালকা লাগল। সাথে সাথে মনটা কেমন দুঃখ দুঃখ করে উঠল । ইস্ একেতো চারশো টাকা গেল তার উপর এই পাঁচ টাকার চা।  আজকাল এই হয়েছে এক জালা, একটু মন খারাপ হলেই সবাই ফলাও করে বলবে, ডিপ্রেশনে ভুগছি। যেন মাথায় আভিজাত্যের টোপর উঠল। বাড়ি ফিরতেই গিন্নীর জিজ্ঞাসা - কি বলল ডাক্তার? বললাম ডিপ্রেশন । গিন্নীর চোখ দুটো একবার কপালে উঠল তারপর ইতিউতি খুঁজে বেড়াতে লাগল নিজের মুঠোফোন। মুঠোফোন হাতের নাগালে পেতেই গিন্নী চলেগেল রান্নাঘরে খবর সম্প্রচারের জন্য। আ

সঙ্গম

প্রেম আজও আছে বেঁচে, নয় শুধু পথ চলা অভ্যাসে, অভাব পলিতে ঢেকেছে আবেগ যত, বালি ঝড় ,আজ শুধু নিশ্বাসে, তোমার নদী শান্ত হয় জানি, আমার দেহের নোনা জলে মিশে।   

অপরাজিতা

- এত ছটপট করিস কেন অপা ? একটু ধৈর্য্য ধরে বসতে পারিসনা ? সবসময় এত অধৈর্য হলে চলে !   - কি করব মা , অঙ্কটা যে কিছুতেই মেলাতে পারছি না ।   - ঠিক মিলবে । চেষ্টা কর ঠিক হবে ।   - কি করে হবে ? দিদিমনি যেভাবে বলেছেন সেভাবেই তো করলাম , তবু হচ্ছে না ।   - অন্য ভাবে চেষ্টা করে দেখ ।   - অন্যভাবে মানে ?   - অন্যভাবে মানে অন্যভাবে । আরে ইংরাজীতে ওই এক্সপেরিমেন্ট না কি যেন বলে তাই আর কি ।   - অঙ্কে আবার এক্সপেরিমেন্ট হয় না কি ?   - হয় রে হয় , জীবনের সবকিছুতেই হয় । কখনও সফল হয় কখনও হয় না । তা বলে ভেঙে পড়লে চলবে না , সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ।   অপা মায়ের কথা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না । মা এমন ভাবে বলে যে মনেহয় সব বুঝে ফেললাম , কিন্তু পরক্ষনেই মনেহয় কে জানে ঠিক বুঝলাম তো !   মা একদিন কথায় কথায় বলেছিল তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য মায়ের লেখাপড়ার আশা পূর্ণ হয় নি । তাহলে মা এত শক্ত শক্ত কথা জানলো কি করে ! কে জানে , মায়েরা হয়তো সব জানে ।   অপা পড়াশোনায় খারাপ