পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

যারা লেখে

দীপাঞ্জন যখন বাস থেকে পাড়ার মোড়ে এসে নামল তখন সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত হয়ে এসেছে। ক্লান্ত পা দুটো টেনে টেনে বাড়ির দিকের রাস্তা ধরল। বাড়িতে যাওয়ার ব্যাস্ততা নেই তার। বাড়ি ফেরা মানেই সেই নিত্য দিনের অশান্তি। অবশ্য দিশাকে দোষ দিতে পারে না। প্রত্যেকের মনেই কিছু ইচ্ছা কিছু চাহিদা থাকেই। দীপাঞ্জন জানে সে সেই চাহিদা পুরনে অক্ষম। দীপাঞ্জন আর বিদিশা দুজনে দুজনকে ভালবেসেই সংসার পেতে ছিল। ভালবেসেই তারা একে অপরকে দীপ আর দিশা নামেই ডাকতো। আজও সেই নামেই তারা সম্বোধন করে কিন্তু আগের সেই মাদকতা এই নামে আর খুঁজে পায় না তারা। আজ সংসারের চাপে এই নাম দুটি শুধুই অভ্যেস হয়ে গেছে। বরাবরই একটু রাত করে ঘুমানো অভ্যেস দীপের। বিয়ের প্রথম প্রথম দিশা অতটা বুঝতে পারেনি। তখন দুজন দুজনকে নিয়ে মাতোয়ারা। প্রেমের আবেশ যখন অভ্যেসে পরিনত হয় তখন দিশা দেখে দীপ প্রায় মাঝরাত করে বিছানায় আসে। প্রথমে ভেবেছিল দীপ হয়তো অফিসের কোন কাজে ব্যাস্ত থাকে। একদিন বইয়ের তাক গুছাতে গিয়ে নজরে পরে নীল রঙের একটা বাঁধানো খাতা। কৌতুহল বসত খাতা খুলে বসেছিল দিশা। পাতায় পাতায় ভরা স্বপ্ন ছবি। দীপের সৃষ্টি। ছোট ছোট কবিতা আর গল্পে ভরা।