পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উপলব্ধি

মনে রাখতে চাইনি তোমায়, কি হবে এত ছন্দ-সুরের ভার বয়ে! কৈশোরের উষ্ণ রক্তের ধারায়, ভিজিয়ে দিতে চেয়েছিলাম ছন্দবদ্ধ শব্দ রাশি। ধারালো ছুড়ির আঘাতে ফালাফালা করতে চেয়েছিলাম বইয়ের পাতার কালো শব্দগুলি। সহসা কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ, কি যেন আবেশে জড়িয়ে ধরলে তুমি, জীবনের প্রতি মুহুর্ত সাজালে ছন্দময় জীবনের গানে। নিশ্চুপ প্রেমে তোমার শব্দরাশির খেলা, জীবনের একাকিত্বে তোমার সুরমূর্ছনার সহচর্য্য, না পাওয়ার বেদনায় তোমার সহানুভুতির সুর, জীবনের অসফলতায় তোমার শব্দরাশির যষ্ঠি, নতুন করে চেনালো তোমায়। তুমি বললে আছি, আমি আছি। সুরের মুর্ছনায় আবিষ্ট হল মন, ছন্দের মাধুর্য্যে শীতল হল প্রাণ। কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ায় শুনি তোমার সুর, রিমঝিম বৃষ্টিতে শুনি তোমার ছন্দ। ২৫শে বৈশাখ একটা তারিখ মাত্র, জীবনের গোধুলিবেলায় প্রতি মুহুর্তে অনুভব করি তোমার নবজন্ম। 

স্বাদ

চকোলেট বিস্বাদ লাগে তোমায় ছাড়া, কুইনাইনও তোমার ছোঁয়ায় মিষ্টি। অবস্থার পরিবর্তনে স্বাদ বদলায়, বদলায় জীবনের মানে, অমৃতের স্বাদ শুধু ভগবান জানে।

আলাপন

#হাসতে_হাসতে       আলাপন      সুদীপ্ত চক্র গাধার পিঠে সাওয়ার ভুতো যাবে অনেক দূর, পাগরী মাথায়, নাগড়া পায়ে, ভাঁজছে কি এক সুর। চেঁচান কেন ? বলল গাধা, নেই কি গলায় মধু ! প্রাণ ছাড়খার গানের গুঁতোয়, সুর নেইকো শুধু। গানের মর্ম তুই কি বুঝিস ! বললে রেগে ভুতো, সব কিছুতেই খুঁত খুঁজিস একটু পেলেই ছুতো। তিন তিনটে পাশ দিয়েছি, জানিস আমার এলেম ? তোদের মতো গাধার জন্য সব বিলিয়ে দিলেম। সুখ দুঃখ সব দিয়েছি তোদের জন্য ছেড়ে, বলল গাধা, তাইতো ঘোরেন মোদের পিঠে চড়ে। চুপ বেয়াদপ, হাড়গিলে সব, জানিস গানের মানে ? বললে গাধা, হুজুর এসব সাওয়ারী গাধাই জানে।