পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কিছু বেড়ানো কিছু গল্প

ছবি
মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক। কোথায় যাওয়ার কথা ছিল আর কোথায় গিয়ে উঠলাম। মানে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম এক জায়গায়, গিয়ে পৌঁছালাম আর এক জায়গায়। যেখানে গিয়ে পৌঁছালাম সেখানে আমি আগেও দু-বার গিয়েছি। কিন্তু আমি গেলে কি হবে আমার আত্মজা কোনদিন যায়নি তাই তার সাধ পূরণ করতে যাত্রা করলাম সেই চেনা পথে। প্রায় সব বাঙালীর মোটীমুটি পরিচিত জায়গা। মানে আমি দার্জিলিং এর কথা বলছিলাম আর কি। যাই হোক দূর্গাপুর থেকে বর্ধমান গিয়ে পৌঁছালাম সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ। বর্ধমান থেকে ট্রেন রাত সাড়ে ন'টায় তাই রেলের প্রতিক্ষালয়ে দু-ঘন্টার জন্য ঘাঁটি গাড়লাম। এই প্রতীক্ষালয় একটা বেশ দেখার জিনিস। কত রকম মানুষজন, তাদের প্রত্যেকের নানা রকম পোশাক, নানা রকমের ভাবভঙ্গী আমার কিন্তু বেশ লাগে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় লাগে এই প্রতীক্ষালয়ে বসে ছবি আঁকাতে মগ্ন কিছু ছেলেমেয়েকে। মনে হয় তারা আর্ট কলেজের ছাত্রছাত্রী। তারা নিজের মনে প্রতীক্ষালয়ে বসে বা শুয়ে থাকা যাত্রীদের প্রতিছবি নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলছে সাদা কাগজের উপর। তাদের দক্ষ হাতের পেনসিল চালনা দেখতে দেখতে সময় যে কখন পেরিয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। তাদের আঁকা দেখতে এতটাই মগ্ন ছিলাম য

আগমনী

ছোটবেলায় বাংলার মাস তারিখ বা ঋতু কোনটাই ঠিক বুঝে উঠতে পারতাম না । এখন বুঝলেও হয়তো মনে রাখার তাগিদ অনুভব করিনা । কিন্তু আমাদের বাংলার এই প্রকৃতি শর ৎ ঋতুটিকে ভুলতে দেয় না । তার একটা কারণ আকাশের গায়ে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আর বাংলার কোল জুড়ে কাশফুলের বাহার । আর একটা কারণ অবশ্যই দুর্গো ৎ সব । ছোটবেলায় যেমন কাশফুল ফুটলেই বুঝতাম পুজো এসে গেছে , এখনও তার অন্যথা হয়না । এখন আমাদের চারপাশে বিনোদনের হরেকরকম সমাহার কিন্তু ছোটবেলায় বিনোদন বলতে ছিল পাড়ায় পাড়ায় যাত্রা আর বাউল গান । আর ছিল রেডিও । ঠিক পুজোর আগে আগে রেডিওতে শোনা যেত আগমনী গান । তখন আগমনী গানের মানে না বুঝলেও শুনতে ভালোলাগত । মাঝে মধ্যে মা গল্প বলত শিব - দূর্গা আর তার ছেলে মেয়েদের । যত বড় হতে থাকলাম তত আগমনী গানের মানে অনুধাবন করতে থাকলাম । এই বাংলায় বহু কাল ধরে চলে আসছে এই আগমনী গান । পুজোর আগে চারণকবিরা সারা গ্রাম ঘুরে ঘুরে গেয়ে ফিরতেন এই আগমনী গান । আমাদের সময়ে এই কবিরা তখন বিলুপ্ত প্রায়