পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রতিবিম্ব

অফিস থেকে ফিরে চায়ের কাপ হাতে টিভিতে খবরের চ্যানেলগুলো ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে দেখা শুদ্ধশীলের অনেকদিনের অভ্যেস। শুদ্ধশীল বেশ সৌখিন মানুষ। মনোরমা য়্যাপার্টমেন্টের এই ফ্ল্যাটটা বছর খানেক হল কিনেছেন। নিজের মনের মত সাজিয়ে তুলেছেন এই ফ্ল্যাট। শুদ্ধশীলের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা এই ডাইনিং ক্যাম ড্রয়িং রুম। সুতপা মানে ওনার স্ত্রীর সাথে এই ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে একটু যে মতান্তর হয়নি তা নয়। শ্বশুড়ের অতবড় পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে এই তিন কামরার ফ্ল্যাট সুতপার ঠিক পচ্ছন্দ ছিল না। কিন্তু শুদ্ধশীল নাছড়বান্দা। তার যুক্তি অতবড় বিদেশী কম্পানীর সেলস ম্যানেজারের এইরকম সাবেকী আমলের বাড়ি মানায় না। তাছাড়া ব্যাঙ্ক যখন লোন দিতে রাজি হয়েছে তখন ফ্ল্যাটটা নিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সুতপার এই ব্যাঙ্ক লোনের ব্যাপারেও আপত্তি ছিল।  শুদ্ধশীলের যুক্তি ছিল , এখন তার বয়স ৪৪ বছর , আর লোন শোধের সময় সীমা ১৫ বছর। অতএব রিটায়ারমেন্টের এক বছর আগেই ব্যাঙ্কের ধার শোধ হয়ে যাবে। ফ্ল্যাটটা শুদ্ধশীলের পছন্দ হলেও অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দাদের তাঁর ঠিক পছন্দ ছিল না। মানে অন্যদেরকে নিজের স্ট্যাটাসের সমতুল্য মনে করতেন না। সব থেকে অ

ভদ্রাবতী কথা

ছবি
সে অনেকদিন আগের কথা, তখন এই বঙ্গে অনেক রাজা রাজত্ব করতো। এমনই এক রাজা ছিলেন পুরুলিয়ার কাশিপুর অঞ্চলের পঞ্চকোট রাজপরিবারের মহারাজ নীলমণি সিং দেও। এই রাজার রাজ্যে এক ছোট্ট গ্রামে বাস করতো ছোট্ট এক মেয়ে। তার নাম ছিল ভদ্রাবতী। রূপে গুণে সে ছিল যেন সাক্ষাত দেবী লক্ষী। রাজা নীলমণি লোক মুখে সে খবর পেয়ে  একদিন হাজির হলেন সেই গ্রামে। ছোট্ট ভদ্রাবতীকে দেখে রাজা অভিভূত হয়ে গেলেন। এ যেন সত্যি সত্যি সাক্ষাত দেবী লক্ষী। রাজা মনে মনে ভদ্রাবতীকে নিজের মেয়ে বলে মেনে নিলেন। ভদ্রাবতীর পিতাকে ডেকে বললেন ভদ্রাবতীকে তিনি নিজের রাজপ্রাসাদে নিয়েগিয়ে রাখবেন। আজ থেকে ভদ্রাবতীর সমস্ত দায়িত্ব রাজার। কিন্তু পিতা তাঁর নিজের মেয়েকে কাছ ছাড়া করতে চাইলেন না। তার মেয়ে অন্ত প্রাণ, কি করে সে মেয়েকে ছেড়ে থাকবে  ! রাজা বললেন ঠিক আছে মেয়ে তোমার কাছেই থাক কিন্তু আজ থেকে তার ভালমন্দ সবকিছুর দায়িত্ব আমার। ছোট্ট ভদ্রাবতীর হেসে খেলে দিন যায়। ধীরে ধীরে তার দেহে ও মনে আসে যৌবনের ছোঁয়া। তাদের পাশের গ্রামের অঞ্জন নামে এক যুবকের সাথে গড়ে উঠল তার প্রেমের সম্পর্ক। দুজনে দুজনকে চোখে হারায়। ভদ্রাবতী গান গায় , অঞ্জ