পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুমি না থাকলে

মা দূর্গার আরাধনায় উৎসবে মেতেছে গোটা বঙ্গ তথা সারা দেশ। এই আরাধনার মূল উদ্যক্তা ছিলেন স্বয়ং শ্রী রামচন্দ্র। সে কাহিনী আমরা রামায়ণে পড়েছি। কিন্তু একজন না থাকলে কোন মতেই আমরা এই মহিষমর্দিনী রূপের আরাধনায় মেতে উঠতে পারতাম না। ভাবছেন তিনি আবার কে ! গল্প উপন্যাসে যেমন নায়কের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে খলনায়কের অবতারনা করা হয় তেমনি অশুভ শক্তির উদয় না হলে শুভ শক্তির আবির্ভাব হয় না। ©Sudipta যদি মহিষাসুর না থাকত তাহলে মহিষমর্দিনী রূপ আমরা দেখতে পেতাম না আর আমাদেরও উৎসবে মেতে ওঠা হত না। শুধু কি মহিষাসুরের মধ্যেই অশুভ শক্তির বসবাস ! পূরাণ কিন্তু অন্য কথা বলে। অশুভ শক্তির বিনাশে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে মহিষাসুর একজন কলাকুশলী মাত্র। আর শুভ শক্তির মধ্যেই যদি অশুভ শক্তির উদয় হয় তাহলে সেই অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য একটু ছলনার আশ্রয় তো নিতেই হয় মানে এযুগের ভাষায় "গট আপ গেম"। না না কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে রে রে করে তেড়ে আসার আগে একটু কালিকা পূরানে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। যে কোন পূরাণেই সৃষ্টির আদিতে মহামায়াকেই জগৎ নিয়ন্ত্রক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কালিকাপূরাণেও এর অন্যথা হয়নি। অস

বন্ধু আয়

মাঞ্জা সুতো, কাঠের লাটাই, আকাশ জুড়ে রঙের মেলা, ঘুড়ির সাথে সময় কাটাই। দীঘির থেকে একটু দূরে, ঐ যে নদী, নৌকা চুরি, একটু ঘুড়ি মাঝ নদীতে নদীর চরে। হাতে হাত ছিপ, ইলশেগুঁড়ি ভিজে চুপচুপ খেলার সাথি, কে যাবি আয় আমার সাথে বুকের মাঝে চড়ুইভাতি।

খিদে

ঝুপ করে সন্ধ্যা নামে, বুভুক্ষুরা জেগে ওঠে জ্যোৎস্নায়। মনের খিদে শব্দ খোঁজে, পেটের খিদে খোঁজে ভাত, শরীর খোঁজে শ্বাপদ, ঘনায় রাত। স্বপ্ন মোহিনী সুরা পাত্র হাতে, শব্দেরা আসে, দেয় ধরা। বিষ মেখে শুয়ে থাকে মোহিনী। খালি পেটে কি সুরা সয় ! খালি পেটে যৌনতা জাগে না, খালি পেটে কাব্যেরাও আসে না, পূর্ণিমার চাঁদে পোড়া রুটি ঝাপসা, চাঁদের আলো বিভিষিকাময়, শুরু, পেটে মোচড় দেওয়া আর এক রাতের সংগ্রাম।