পোস্টগুলি

প্রেম আমার

# প্রেম আমার # সুদীপ্ত চক্র ফর্সা রঙ, পরিপুষ্ট গড়ন, দেখলেই মনটা কেমন আনচান করে ওঠে। সাইজ এই ধরুন আঙ্গুল বিহীন হাতের তালুর মতো। হালকা হাতে তাকে স্পর্শ করলে মনে এক স্বর্গীয় অনুভুতি লাভ হয়।  পূর্বরাগে যত চটাকাতে পারবেন, তার উত্তরকালীন শ্রী তত বৃদ্ধি পাবে। সাথে যদি কচি বেগুন ভাজা হয় তাহলে তো পুরো জমে ক্ষীর। ওহঃ ভাবতেই আমার জিভে জল চলে আসছে। মিহি সাদা ধবধবে ময়দায় একটু  বেশি করে ঘি নিদেন পক্ষে ডালডার ময়ান দিয়ে ধিরে ধিরে চটকাতে থাকুন মানে ওই থাসতে থাকা আর কি। এরপর ছোট ছোট লেচি করে নিটোল গোল আকারে বেলে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন ফুলকো লুচি। তবে লুচি মাত্রেই যে বেগুন ভাজা সহযোগে সাবার করতে হবে...

২৫শে আলাপ

যদি তারে নাই চিনি গো সে কি ...... সৈকত গুনগুন করতে করতে একটা কাগজে কিছু লিখছিল। হঠাৎ  অঙ্কিতা কাগজটা হাতে নিয়ে দলা পাকিয়ে ঘরের এক কোনে ছুঁড়ে ফেলে দিল। সৈকত বুঝল প্রবল ঝড়ের আগমন বার্তা। ঝড়ের প্রকোপ কমানোর জন্য সৈকত বলল - -  ছলছল চোখ , রক্তরাঙা মুখ, প্রিয়ে  কি বা হেতু তোমার এ রূপ। - ন্যাকামি হচ্ছে ! - না মানে - আজ তোমার জন্য সবার কাছে আমার মাথা হেঁট হয়েগেছে। - আমার জন্য ! আমি আবার কি করলাম !  আমি তো তোমাদের রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসবে যাই নি।  তাহলে ? - সেই জন্যেইতো দিপালী সবার সামনে ও ভাবে অপমান করল। - কি রকম কি রকম ! - তোমার মজা লাগছে ! তা তো লাগবেই।  আ...

বর্ষবরণ

কিছুদিন যাবৎ শরীরটা একটু গোলমাল করছে। রক্তচাপ চিনিচাপ দুটোই উর্দ্ধমুখী। ফল স্বরূপ খাওয়াদাওয়ার প্রতি বাড়ির সবার কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থান করছি। বছরের শেষদিন একটু মিষ্টিমুখ করার প্রবল ইচ্ছা মনে জেগে উঠল। কথায় বলে যার শেষ ভাল তার সব ভালো। সেই শেষটুকু ভালো করার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরলাম। ছোট থেকেই রসগোল্লার প্রতি আমার বিশেষ অনুরাগ। কিন্তু পরিচিত দোকানগুলিতে গেলেই বিপদ। কখন কার সাথে দেখা হয়ে যাবে আর সংবাদ পৌঁছে যাবে সোজা বাড়ির অন্দর মহলে। তারপর কি হবে তা আর খোলসা করে না বলাই ভালো। তাই খুঁজেপেতে একটা অনামি দোকানে হাজির হলাম। কাঠের বেঞ্চে বসে দুটো বড় সাইজের রসগোল্লা নিয়ে সবে এ...

চেনা পুরী অচেনা ভ্রমণ

ছবি
সমুদ্রের প্রতি আমার একটা অমোঘ আকর্ষন আছে সেটা অস্বীকার করতে পারি না। আর বাঙালীর কাছে সস্তার সমুদ্র ভ্রমনের জায়গা হল পুরী। অনেকে এই পর্যন্ত পড়েই রে রে করে উঠবেন যে বাঙালী পুরী যায় তীর্থ করতে। সমুদ্র ভ্রমন কেন হবে। সেটা হয়তো অনেকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু আমার মতো কতিপয় মানুষ আছেন যাদের কাছে পুরী মানেই সমুদ্র। আমার কাছে সন্ধ্যেবেলা বৌ-মেয়েকে পাশে নিয়ে সমুদ্রের ধারে বসে থাকার আনন্দটাই আলাদা রকম। এর আগেও বহুবার পুরী গিয়েছি তাই এবারে পুরী যাওয়ার কথা উঠতেই বৌ বলল একই জায়গায় কতবার যাবে!  মেয়ে বলল যেতে পারি তবে সমুদ্র ছাড়া আর কোথাও যাব না। কিন্তু সারাদিন সমুদ্রের ধারে কি করব সেটাও একটা সমস্যা। পুরীর আশেপাশে যে দর্শনীয় স্থান গুলি আছে তা আগে বেশ কয়েক বার দেখা হয়েগেছে। তাই এবার ভাবলাম যে পুরীর আশেপাশে এমন কোন জায়গায় যাব যেখানে আগে কখনো যাই নি। তাই মেয়েকে বললাম চল এবার নতুন ভাবে পুরী দেখব। দূর্গাপুর থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে র ওনা দিলাম পুরীর পথে।পরদিন সকালবেলা পুরী স্টেশন পৌঁছে অটো ধরে চললাম স্বর্গদ্বারের দিকে। অটো যখন নিউ মেরিন ড্রাইভ রোডে উঠল তখন সমুদ্রের গর্জন আর ...

প্রতিবিম্ব

অফিস থেকে ফিরে চায়ের কাপ হাতে টিভিতে খবরের চ্যানেলগুলো ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে দেখা শুদ্ধশীলের অনেকদিনের অভ্যেস। শুদ্ধশীল বেশ সৌখিন মানুষ। মনোরমা য়্যাপার্টমেন্টের এই ফ্ল্যাটটা বছর খানেক হল কিনেছেন। নিজের মনের মত সাজিয়ে তুলেছেন এই ফ্ল্যাট। শুদ্ধশীলের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা এই ডাইনিং ক্যাম ড্রয়িং রুম। সুতপা মানে ওনার স্ত্রীর সাথে এই ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে একটু যে মতান্তর হয়নি তা নয়। শ্বশুড়ের অতবড় পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে এই তিন কামরার ফ্ল্যাট সুতপার ঠিক পচ্ছন্দ ছিল না। কিন্তু শুদ্ধশীল নাছড়বান্দা। তার যুক্তি অতবড় বিদেশী কম্পানীর সেলস ম্যানেজারের এইরকম সাবেকী আমলের বাড়ি মানায় না। তাছাড়া ব্যাঙ্ক যখন লোন দিতে রাজি হয়েছে তখন ফ্ল্যাটটা নিয়ে নেওয়াই বু...

ভদ্রাবতী কথা

ছবি
সে অনেকদিন আগের কথা, তখন এই বঙ্গে অনেক রাজা রাজত্ব করতো। এমনই এক রাজা ছিলেন পুরুলিয়ার কাশিপুর অঞ্চলের পঞ্চকোট রাজপরিবারের মহারাজ নীলমণি সিং দেও। এই রাজার রাজ্যে এক ছোট্ট গ্রামে বাস করতো ছোট্ট এক মেয়ে। তার নাম ছিল ভদ্রাবতী। রূপে গুণে সে ছিল যেন সাক্ষাত দেবী লক্ষী। রাজা নীলমণি লোক মুখে সে খবর পেয়ে  একদিন হাজির হলেন সেই গ্রামে। ছোট্ট ভদ্রাবতীকে দেখে রাজা অভিভূত হয়ে গেলেন। এ যেন সত্যি সত্যি সাক্ষাত দেবী লক্ষী। রাজা মনে মনে ভদ্রাবতীকে নিজের মেয়ে বলে মেনে নিলেন। ভদ্রাবতীর পিতাকে ডেকে বললেন ভদ্রাবতীকে তিনি নিজের রাজপ্রাসাদে নিয়েগিয়ে রাখবেন। আজ থেকে ভদ্রাবতীর সমস্ত দায়িত্ব রাজার। কিন্তু পিতা তাঁর নিজের...

অ-সম

মামণি তোমার আশ্রম চলে এসেছে। - ও চলে এসেছে ! পর্ণা রিক্সা থেকে নেমে দাঁড়ায়। ব্যাগ থেকে একটা ২০ টাকার নোট বাড় করে। - হরি কাকা এই নাও। - কিন্তু মামণি আমার কাছে তো পাঁচ টাকা খুচরো হবে না। ঠিক আছে পরে না হয় শোধবোধ হয়ে যাবে। - না হরি কাকা শোধবোধ করতে হবে না। তুমি পুরোটাই রেখে দাও। পর্ণা আশ্রমের গেট খুলে ভিতরে চলে যায়। বিঘা খানেক জায়গার উপর এই আশ্রম গড়ে উঠেছে। আশ্রম বলতে এটা কিছু অনাথ বাচ্ছাদের আশ্রয়স্থল। পর্ণা প্রথম যখন এখানে দায়িত্ব নিয়ে আসে তখন এখানে বিশেষ কিছু ছিল না। অনাথ বাচ্ছাদের থাকার জন্য দুটো ঘর, একটা স্কুলঘর, আর বাচ্ছাদের ঘরের পাশে ছোট্ট একটা যেটাতে পর্ণা থাকে। যিনি এই আশ্রমটি গড়ে তুলেছিলেন, নাম দিয়েছিলেন ...

অবান্তর প্রলাপ

অনেকদিন রান্নার আওয়াজ শোনা হয়নি , এবার প্রাণ ভরে শুনবো, এখনতো অখণ্ড অবসর। সকালের বিছানায় শুয়ে থাকে যে রোদ, আদর করিনি অনেকদিন, এবার করব সহবাস, এখনতো অখণ্ড অবসর। নিঃস্তব্ধ দুপুরে পাখার আওয়াজ শুনিনি অনেকদিন, এবার ওর সাথে সুর মেলাবো, এখনতো অখণ্ড অবসর। গোধূলির শেষে সন্ধ্যা তারা দেখা হয়নি বহুদিন, এবার গল্প শোনাব তাকে, এখনতো অখণ্ড অবসর। রাতপরীরা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতো আমায়, এবার গল্প শোনাব তাদের, এখনতো অখণ্ড অবসর। রাতের শিশিরের শব্দ কানপেতে শুনিনি কোনদিন, এবার মনপেতে শুনবো, এখনতো অখণ্ড অবসর। রাতের আঁধারে লুকিয়ে নেব মনের সব ক্ষত গুলো, রাত জাগবো আঁধারের সাথে, এখনতো অখণ্ড অবসর। নিঝুম রাত্রিকে করেছি সাথি, ভোরের আলোয় লাগে ভয়, আবার একটা অলস দিন ! এখন আমার অকাল অবসর।।

নববর্ষের বৈঠক

আজ   একটু   তাড়াতাড়ি   ঘুমটা   ভেঙেগেল   সুতনুর ‌ ।   ঘড়িতে   দেখল ৫টা   বাজে ।   নাঃ   এই   গরমে   ঘুমের   দফারফা ,  আজ   আর   ঘুম   হবে   না ।   কাল   রাতে   শুতে   যাওয়ার   আগে   ভেবেছিল   সকালবেলা   উঠে   হোয়টস্   অ্যাপ   গ্রুপে   জব্বর   একটা   ম্যাসেজ   করতে   হবে ।   নববর্ষ   বলে   কথা ।     তাই   আজ   তাড়াতাড়ি   ঘুমটা   ভেঙে   যেতে   বাথরুমের   কাজ   সেরে   চা   আর   মোবাইলটা   নিয়ে   বারান্দায়   এসে   বসল ।   এখন ৬টা   বাজে ।   হোয়াটস্   অ্যাপ   গ্রুপটা   অন   করতেই   এক   ঝাঁক   ম্যাসেজ   এসে   ঢুকল ।   পুরানো   বন্ধুদের   গ্রুপ ।   কেউ   নবর্ষের   কার্ড   পোষ্ট   করেছে   কেউ   ছোট্ট ...